পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রম
পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রম
পটভূমি:
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, যাদের অধিকাংশই পল্লী অঞ্চলে বসবাসকারী সুবিধাবঞ্চিত। এ সকল নারীদের ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি তথা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন সমাজসেবা অধিদফতর ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ হতে পল্লী মাতৃকেন্দ্র কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলার ৩১৮টি উপজেলায় এ কর্মসূচিটি চালু রয়েছে।
পল্লী মাতৃকেন্দ্রের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গ্রামের দরিদ্র নারীদের ছোট পরিবার গঠনের উপকারিতা, বয়স্ক শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, মা ও শিশুযত্ন সম্পর্কে অবহিত এবং উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ প্রদান, সঞ্চয় সৃষ্টি ও অর্থকরী লাভজনক কর্মকান্ডের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা। ৫% সার্ভিস চার্জসহ সমান ১০টি কিস্তিতে সর্বোচ্চ ১ বছর মেয়াদে এ ঋণ পরিশোধযোগ্য।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রম এর হালনাগাদ পরিসংখ্যান:
- মাতৃকেন্দ্রের সংখ্যা:
- আওতাভুক্ত ইউনিয়ন সংখ্যা: ০৫ টি।
- আওতাভুক্ত গ্রামের সংখ্যা:
- প্রাপ্ত তহবিল:
- বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ:
- পুনঃ বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ:
- উপকৃত পরিবার সংখ্যা:
সেবা:
- দরিদ্র নারীদের সংগঠিত করে উন্নয়নের মূল স্রো্তধারায় নিয়ে আসা;
- দরিদ্রতা বিমোচন ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন;
- পরিকল্পিত পরিবার তৈরীতে সহায়তা প্রদান;
- জাতীয় জনসংখ্যা কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট সেবা;
- সচেতনতামূলক উদ্বুদ্ধকরণ এবং দক্ষতা উন্নয়ন;
- ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষুদ্রঋণ;
- লক্ষ্যভুক্ত নারীদের সংগঠনের নিজস্ব পুঁজি গঠন।
সেবা গ্রহীতা:
- নির্বাচিত গ্রামের বাসিন্দা
- পল্লী মাতৃকেন্দ্র কর্মদলের দলীয় সদস্য
- মাথাপিছু পারিবারিক আয় ৩৪০০ টাকা
কার্যাবলি:
- গ্রাম নির্বাচন;
- গ্রাম জরিপ;
- লক্ষ্যভুক্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে সংগঠিত করে দলগঠন;
- গ্রাম/মহল্লা কমিটি গঠন;
- সাক্ষর জ্ঞান প্রদান;
- বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ; (পরিবার পরিকল্পনা, বাড়ীর আঙ্গিনায় সব্জিচাষ, সামাজিক বনায়ন, নিরাপদ পানি পান, স্যানিটেশন, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, পুষ্টি সচেতনতা, পরিবার পরিকল্পনা, গর্ভবতী মায়ের যত্ন, শিশুদের টিকা দান, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, নারী নির্যাতন ও যৌতুক বিরোধী সচেতনতা, মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার রোধ, শিশুদের স্কুলে প্রেরণ ইত্যাদি)
- বৃত্তিমূলক ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান;
- ক্ষুদ্রঋণ প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত আবেদন পত্রে আবেদন;
- আর্থ সামজিক উন্নয়নে উপযুক্ত ঋণ গ্রহীতা নির্বাচন;
- চুক্তি সম্পাদন;
- সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান;
- নিজস্ব পুঁজিসহ সংগঠন তৈরীতে সহযোগিতা।